মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে কানাডার হ্যালিফ্যাক্স সিটিতে বাংলাদেশি কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন অব নোভাস্কসিয়ার (বিডিক্যান্স) উদ্যোগে পালিত হয়েছে বাঙালির প্রাণের বর্ষবরণ উৎসব। পয়লা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটির সুরে সুরে প্রবাসী বাঙালিরা বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নেন।
পরে হ্যালিফ্যাক্স কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে বাংলা নববর্ষ সম্পর্কিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর শিশুদের আনন্দ মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলের পর ‘একদিন বাঙালি ছিলাম রে’ গান পরিবেশন এবং হ্যালিফ্যাক্সে বাংলা ভাষার শিক্ষাদান, বিকাশ, প্রসার ও চর্চায় নিয়োজিত হ্যালিফ্যাক্স বাংলা শিক্ষণ স্কুলের শিশুদের মামার বাড়ি কবিতা অবলম্বনে নির্মিত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
এরপর সকলের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় সমবেত সংগীত ‘আমরা সবাই রাজা’। তারপর ‘মেলায় যাইরে’ ও মাইলসের ‘জ্বালা’ গানটি পরিবেশিত হয়। ‘প্রজাপতি’ গানের সঙ্গে শিশুরা পরিবেশন করে নাচ। ইকবাল চৌধুরী ও ইশতিয়াকের উপস্থাপনায় পরিবেশিত হয় সিলেটী ও চট্টগ্রামের ভাষায় ‘মজার খবর’। তারপর ‘গ্রাম ছাড়া’ ও ‘সূর্যোদয়ে তুমি’ গানটি পরিবেশিত হয়।
অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে আজহারুল হকের উপস্থাপনায় বিডিক্যান্সের সূচনালগ্ন থেকে অগ্রগতি ও কার্যক্রম উপস্থাপিত এবং সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকদের সনদ ও মেডেল দেওয়া হয়। এরপর মোহাম্মদ আহসানুল হাবীবের কবিতা আবৃতি উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করে। তারপর ‘বছর ঘুরে’ গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশিত হয়। আমিনুল ইসলাম বাপ্পী পরিবেশন করেন ‘অদ্ভুত সেই ছেলেটি’। এরপর ‘আমার স্বপ্নগুলো’ গানটি পরিবেশিত হয়।
মধ্যাহ্নভোজ পর্বে ছিল বৈশাখী আমেজ। বাঙালি ঐতিহ্যবাহী খাবার সবাইকে প্রবাসের কথা ভুলিয়ে দেয়। তারপর মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ডুব’ ছবিটি পরিবেশিত হয়। সবশেষে ফিফটি-ফিফটি লটারি র্যাফেল ড্রর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশি শিশুদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। আর এভাবেই নতুন প্রজন্মের কানাডীয়-বাংলাদেশি শিশুরা নিজেদের মাঝে আপন ঐতিহ্য ধারণ করে চলেছে। বলা হয়ে থাকে বাঙালি যেখানেই যায়, সঙ্গে করে একটা বাংলাদেশ নিয়ে যায়। হ্যালিফ্যাক্সের প্রবাসী বাঙালিরা আবারও এর প্রমাণ দিল।
Recent Comments