হ্যালিফ্যাক্সে বাংলাদেশে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা কালচারাল অ্যান্ড ডাইভার্সিটি ফেস্টিভ্যালে অংশ নেওয়া বাংলাদেশিরাফিউশন হ্যালিফ্যাক্স আয়োজিত কালচারাল অ্যান্ড ডাইভার্সিটি ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশ কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন অফ নোভা স্কশিয়া অংশ নিয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের সমাগমে মুখরিত ছিল হ্যালিফ্যাক্স সিটাডেল গ্যারিসান গ্রাউন্ডের উৎসব প্রাঙ্গণ।

বাংলাদেশি স্বেচ্ছাসেবীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল। অন্যান্য দেশের বিচিত্র ঐতিহ্যসমৃদ্ধ স্টলের পাশাপাশি বাংলার ঐতিহ্য বিশ্বের দরবারে তুলে ধরছিল বাংলাদেশের স্টলটি। বাংলাদেশের লাল-সবুজের স্টল পরিদর্শন করে অভিভূত হয়ে পড়েছিল কানাডাসহ অন্য দেশের মানুষ।
বাংলাদেশি স্টলে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী সামগ্রীর পাশাপাশি ছিল বাংলাদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের ছবি। এসব দেখে ভ্রমণপিপাসু কানাডীয়দের অনেকেই বাংলাদেশে ভ্রমণের ইচ্ছা পোষণ করেন। দর্শকেরা বিস্ময়ে বাংলাদেশের সংসদ ভবন ও আহসান মঞ্জিলের ছবি দেখে অভিভূত হয়ে পড়ছিলেন এবং বাংলাদেশি স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে বিস্তারিত বর্ণনা শুনছিলেন। ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দে আবিষ্কৃত পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের ছবি দেখে এবং বর্ণনা শুনে দর্শনার্থীরা বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্যের সম্পর্কে জানতে পারেন। ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের কথা অনেক দর্শনার্থীরই জানা ছিল না। অনেকে কক্সবাজারের ছবি দেখেই সেখানে জীবনে অন্তত একবার ভ্রমণে যাওয়ার সংকল্প করেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন ও বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়াল বেঙ্গল টাইগারের ছবি দেখে অনেকেই রোমাঞ্চিত হন। শহীদ মিনারের ছবি, গ্লোবে বাংলাদেশের স্থান দর্শকেরা আগ্রহসহ পর্যবেক্ষণ করেন। ছবি তোলার জন্য বাংলাদেশের পতাকা সমৃদ্ধ ফ্রেম রাখা হয়েছিল বাংলাদেশের স্টলে। শেষ বিকেলের গোধূলি ছায়ায় বাংলাদেশের শিল্পীরা মঞ্চে নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলে ধরেন। বাংলাদেশিদের পরিবেশনার মধ্যে ষড়্ঋতুর ওপর ছিল শিশুদের পরিবেশনা ও নৃত্য।
দর্শকেরা বাংলাদেশি শিশুদের পরিবেশনায় মুগ্ধ হন। দর্শকদের করতালিতে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে। অনুষ্ঠানে লালনগীতি ও রবীন্দ্রসংগীতের সূর মুগ্ধচিত্তে উপভোগ করনে দর্শনার্থীরা। রবীন্দ্রসংগীতের সূরের মাধুরীতে উপস্থিত সবার অন্তরেই অকৃত্রিম সূরধারা প্রবাহিত হয়।

কানাডার হ্যালিফ্যাক্সে বাংলাদেশিদের অসাধারণ পরিবেশনা  

অর্ণব খান

বাঙালির অংশগ্রহণ মানেই শত ব্যস্ততার মাঝেও হৃদয়ের টানে ছুটে আসা। বাঙালির অংশগ্রহণ মানেই সব ভেদাভেদ ভুলে একত্রিত হওয়া। গত ১৬ সেপ্টেম্বরশনিবার ফিউশান হ্যালিফ্যাক্স কর্তৃক আয়োজিত ‘কালচারাল এন্ড ডাইভারসিটি ফেস্টিভাল’-এ অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ কমিউনিটি এসোসিয়েশান অফ নোভা স্কসিয়া। হ্যালিফ্যাক্স সিটাডেল গ্যারিসান গ্রাউন্ডে সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের সমাগমে মুখরিত ছিল উৎসব প্রাঙ্গন। 
 
বাংলাদেশি ভলান্টিয়ারদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি প্রাণ ফিরে পায়। অন্যান্য বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ঐতিহ্যসমৃদ্ধ স্টলের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্টলটি সগর্বে বাংলার ঐতিহ্য বিশ্বের দরবারে তুলে ধরছিল। কানাডিয়ানরা ও বিভিন্ন দেশের মানুষেরা আমাদের লাল-সবুজের স্টল পরিদর্শন করে অভিভূত হয়েছিল। আমাদের স্বেচ্ছাসেবকদের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা, সেই ভিনদেশীদের বিস্ময়সূচক চাহনি ও আমাদের ঐতিহ্য নিয়ে কৌতূহল নিবারণ করে বাংলাদেশের পরিচয় বিশ্ব দরবারে ফুটিয়ে তুলেছিল। 
 
Image-3আমাদের স্টলে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী সামগ্রীর পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহের ছবি প্রকাশ পায়। এসব দেখে ভ্রমণপিপাসু কানাডিয়ানদের অনেকেই বাংলাদেশে ভ্রমনের ইচ্ছা পোষণ করে, যা ছিল আমাদের জন্য অনেক গর্বের বিষয়। দর্শকেরা বিস্ময়ে সংসদ ভবন ও আহসান মঞ্জিলের ছবি দেখে অভিভূত হয়েছিলেন এবং বাংলাদেশি স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে বিস্তারিত বর্ণনা শুনেন। 

Image-02১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে আবিষ্কৃত পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের ছবি দেখে এবং বর্ণনা শুনে দর্শনার্থীরা বাংলাদেশের প্রাচীন ঐতিহ্যের অমৃত অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১২০ কি.মি দীর্ঘ বিশ্বের সর্ববৃহৎ সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের কথা দর্শনার্থীরই অজানা ছিল। অনেকে কক্সবাজারের ছবি দেখেই সেখানে জীবনে অন্তত একবার ভ্রমণে যাবার সংকল্প করেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন ও বাংলাদেশের জাতীয় পশু রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ছবি দেখে সকলেই রেমাঞ্চিত হয়েছিলেন। শহীদ মিনারের ছবি, গ্লোবে বাংলাদেশের স্থান দর্শকেরা আগ্রহসহ পর্যবেক্ষণ করেন।

Image-01ছবি তোলার জন্য বাংলাদেশের পতাকা সমৃদ্ধ ফ্রেম রাখা হয়েছিল বাংলাদেশের স্টলে এবং দর্শকেরা লাল-সবুজের ফ্রেমে ছবি তুলে আনন্দিত হন। শেষ বিকেলের গোধুলী ছায়ায় বাংলাদেশের পারফর্মাররা স্টেজে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে বাংলাদেশের ঐতিহ্যের বহিঃপ্রকাশ করতে সক্ষম হন। বাংলাদেশিদের পরিবেশনার মধ্যে ষড়ঋতুর ওপর শিশুদের পরিবেশনা ও নৃত্য উল্লেখযোগ্য।

দর্শকেরা বাংলাদেশি শিশুদের পরিবেশনায় মুগ্ধ হয়েছিলেন, দর্শকদের করতালিতে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গন মুখরিত হয়ে ওঠে। লালনগীতি পরিবেশনার সময় আমরা সকলেই যেন কিছুক্ষণের জন্য গ্রাম-বাংলার সেই চিরচেনা প্রকৃতিতে মনের গহীন হতে ঘুরে আসলাম। বলা হয়ে থাকে, রবীন্দ্র সঙ্গীতের সুর বিশ্বের সকলের হৃদয়হরণে সক্ষম। আমরা কথাটির প্রমাণ পেলাম রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশনার সময়।  রবীন্দ্র সঙ্গীতের সুরের মাধুরীতে উপস্থিত সকলের অন্তরেই অকৃত্রিম সুরধারা প্রবাহিত হয়েছিল। আমরাই বাংলাদেশ। আবারও বিশ্বের দরবারে নিজ দেশকে তুলে ধরতে পেরে আমরা সকলেই গর্বিত।

 


 
News Source: CBN24.ca and Prothom-Alo