Dear Community Members,
Team BDCANS would like to give a special shout-out to every one of you for your exceptional participation and cooperation to make “বিজয়-71: Culture of Freedom” a successful event.
Notun Desh Desk Report: http://notundesh.com/news/15a3a02a61c3ae

We gratefully acknowledge, the participants: who were the key success factor of this event; the hard works of our community volunteers to organize and manage the event; time and efforts of our cultural talents who arranged the rehearsals, planned the cultural event and performed; and finally, the support of everyone one of you who shared excellent ideas and suggestions to make this event a blast.
BDCANS also acknowledge the guests from other communities, specially Mi’kmaq First Nation and the support from province of Nova Scotia for this event.
We look forward to seeing you at BDCAN’s next event “Workshop on International Mother Language Day 2018, ‘অমর একুশে’- 52”, which will be held on February 25, 2017 at Saint Mary’s Boat Club. Further details will be available soon.
To know BDCANS activities and program highlights, please visit: http://bdcans.com

বাংলাদেশী কমিউনিটি এসোসিয়েশান অফ নোভা স্কসিয়ার উদ্দ্যোগে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা “বিজয় ৭১”

মোহাম্মদ আলী খান অর্ণব: গত ১৬ই ডিসেম্বর ২০১৭ কানাডার নোভা স্কসিয়া প্রদেশের হ্যালিফ্যাক্স সিটিতে বাংলাদেশী কমিউনিটি এসোসিয়েশান অফ নোভা স্কসিয়ার উদ্দ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা “বিজয় ৭১”। সেন্ট মেরী’স বোটক্লাবে অসংখ্য বাংলাদেশীদের সাথে অনেক কানাডিয়ান দর্শনার্থীও অংশনেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল কোরআন তেলাওয়াত।

তারপর কানাডার মি’কম্যাক উপজাতির মি’কম্যাক সংস্কৃতি অনুসারে ঈগল পালক দ্বারা দুষ্টপ্রচ্ছায়া বিতরিতকরণের আয়োজন। মি’কম্যাক ব্রায়ান নকউড সবাইকে এই সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেন এবং সকলের অংশগ্রহণে তিনি দুষ্টপ্রচ্ছায়া বিতরিতকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

তারপর বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতে সকলে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ থেকে বারহাজার কিলোমিটার দূরের হ্যালিফ্যাক্সে জাতীয় সংগীতের সূরের মাধূরীতে উপস্থিত কানাডিয়ান দর্শনার্থীসহ সকলেই বিমোহিত হয়ে যান। তারপর কানাডার জাতীয় সংগীতে সকলে অংশগ্রহণ করেন। এরপর রূপসী বাংলার ডকুমেন্টরী প্রদর্শিত হয়। অসম্ভব সৌন্দর্য্যমন্ডিত সবুজ বাংলাদেশের সাথে কানাডিয়ানদের পরিচয় হয় এই ডকুমেন্টরী দেখে।

শিশুদের পরিবেশনায় ফুটে ওঠে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুন্থান এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ। কানাডিয়ানরা পরিচিত হয় বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে। শিশুদের এসব চমৎকার পরিবেশনায় ও তাদের প্রতিভায় উপস্থিত সকলেই মুগ্ধ হয়ে যান। শিশুদের অংশগ্রহণে “আমরা সবাই রাজা” গানটি সকলের শৈশবের স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল। তারপর পরিবেশিত হয় আরেকটি রবিন্দ্রসঙ্গীত। এরপর রোল্যান্ড ম্যাজিয়্যাও-এর “সোল্জার’স ক্রাই ও ক্যানাডা” গানটি পরিবেশিত হয়, যা কানাডার ঐতিহ্যের সাথে সকলের সেতুবন্ধন করিয়ে দেয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে কানাডিয়ান আর্মির অনেক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। ক্যাপ্টেন ক্যট্লিন স্মিথ-এর উপস্থাপনায় হ্যালিফ্যাক্সে আর্মিদের কার্যক্রম ও সেবাসমূহ সম্পর্কে সকলে পরিচিত হন।
বাংলা শিক্ষণ স্কুলের ডকুমেন্টরী সকলকে অভিভূত করে। সকলেই এই ডকুমেন্টারির মাধ্যমে বাংলা স্কুলের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হন। হ্যলিফ্যাক্সে বাংলা ভাষা চর্চার প্রসারে কাজ করে চলা বাংলা শিক্ষণ স্কুলের গ্র্যাজুয়েট শিশুদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। গ্রাজুয়েট শিশুদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত। তারা বিভিন্ন পরিবেশনায় অংশনিয়ে তাদের অর্জিত বাংলা ভাযার দক্ষতা সম্পূর্ণরূপে ফুটিয়ে তোলে। তারপর শুরু হয় মি’কম্যাক সংস্কৃতির সংগীত পরিবেশনা। ব্রায়ান নকউডের কন্ঠে সকলেই মি’কম্যাক সংগীত উপভোগ করেন।
নৈশভোজ পর্বে মনোহরী বাঙালী খাবার সকলকেই স্মৃতিকাতর করে দেয়।
কানাডিয়ানরা পরিচিত হয়েছিলেন বাংলাদেশের মজাদার সব খাবারের সাথে। তারা বাংলাদেশের খাবারের স্বাদে মুগ্ধ হয়েছিলেন। নৈশভোজ পর্ব শেষে পরিবেশিত হয় সর্বনাশা পদ্মা নদী গান এবং কবিতা আবৃত্তি। তারপর বাংলাদেশী প্রবাসী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অভিনীত নাটক “জীবন থেকে নেয়া” প্রদশিত হয়। এরপর গেম শো এবং কুইজ প্রতিযোগিতায় দর্শকদের অনেকেই অংশনেন এবং সকলেই তা উপভোগ করেন। সবশেষে আইকো কাজীর কন্ঠে “আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম” গানটির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে শুরু করে সর্বত্রই ছিল বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পরশ। এভাবেই সাংস্কৃতিক বিনিময় ও দেশের ঐতিহ্য বজায় রেখে কানাডার হ্যালিফ্যাক্সে বসবাসকারী বাংলাদেশীরা বিশ্বের দরবারে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে।